বর্তমানে যে হারে বেকারত্ব বাড়ছে এবং মানুষের মধ্যে চাকরির সংকট তৈরি হচ্ছে সেই সংকট দূর করবার জন্য টাটা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) এই অর্থ বর্ষে প্রায় ৪০ হাজার ফ্রেশার নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে।
শুধু জুন কোয়ার্টারেই টিসিএস ৫ হাজার ৪৫২ জন কর্মী নিয়োগ করেছে, এখন তাই টিসিএসে নোট ৬ লাখ ৬ হাজার ৯৯৮ জন কর্মরত। টিসিএসের চিফ এইচআর অফিসার মিলিন্দ লাক্কাড় একটি সংবাদ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে বলেন যে,“ভারত প্রতিভার গন্তব্য, এবং অদূর ভবিষ্যতে এটি পরিবর্তন হবে না। ভারতীয় প্রতিভাদের জন্য ইতিবাচক পথের ব্যাপারে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী।”
বর্তমানে AI এর প্রভাবের বিষয়ে কথা বলতে মিলিন্দ লাক্কাদ বলেন যে, টিসিএস কর্মীরা সবসময়ই মানিয়ে নিতে পারদর্শী। অফিসের কর্মীদের উপস্থিতি সংহত করতে সংস্থাটি সম্প্রতি তার পরিবর্তনশীল বেতন নীতি আপডেট করার কথা বলেন ও তার সাথে এও বলেন যে,“প্রায় ৭০% কর্মচারী অফিসে ফিরে এসেছেন ‘ধারণাটি শাস্তিমূলক নয় বরং অফিসে উপস্থিতিকে ইতিবাচকভাবে উৎসাহিত করার জন্য।”
তিনি কর্মসংস্থান এবং কর্মের ক্ষেত্রে যুব সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার প্রসঙ্গে বলেন যে, “আমরা এমন একটি জায়গায় এসেছি যেখানে মাত্র ৭০ শতাংশ প্লাস নম্বর নিয়ে আমি খুব খুশি। আমরা এক চতুর্থাংশ, দুই ত্রৈমাসিক, তিন ত্রৈমাসিক বা বছরের জন্য চালিয়ে যাব কিনা তা এমন কিছু বিষয় যা আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এটা এমন কিছু নয় যা আমরা মানুষকে শাস্তি দিতে চাই। এটাই সর্বশেষ ব্যবস্থা যা আমরা এখন নিয়েছি। যারা কাজে আসার মূল্য বোঝেন না বা এখনো বোঝেন না, তারা যেন তা বোঝেন, তা নিশ্চিত করতেই আমরা সর্বশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।”
বেতন কাঠামো প্রসঙ্গে মিলিন্দ লাক্কাড় বলেন যে,যেটুকু ভেরিয়েবল বেতন নেওয়া হয়ে থাকে তা আবার যারা আসছেন তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ এমনটা কিন্তু নয় যে, কোম্পানি সেই অর্থ অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করছে, কোম্পানি এই অর্থ আবার অন্য ভাবে জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দিচ্ছে। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, টিসিএস যে নিয়োগ করবে এই খবর শুনে বহু কর্মপ্রার্থী নতুন করে উৎসাহ খুঁজে পেয়েছেন।